
এসবিনিউজ ডেস্ক: সদ্য শেষ হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেছেন বাম জোটের প্রার্থীরা। শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত বাম জোটের প্রার্থীরা গণশুনানি করেন। গণশুনানি শেষে তারা অভিযোগ করে বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে মানুষের ভোটাধিকারের পরাজয় হয়েছে। দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল সংলাপের ফলাফল হিসেবে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এসব অভিযোগ তুলে ধরে তারা পুনরায় নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দেওয়াসহ একটি গণ তদন্ত কমিটি করে সারা দেশের নির্বাচনের চিত্র আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানায়।
গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খলিকুজ্জামান, বাসদ মার্কসবাদীর মবিনুল হায়দার চৌধুরী, সিপিবির সহ সাদারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, সিপিবির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির আহ্বায়ক মিশুক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড বহ্নিশিখা জামানি প্রমুখ।
বামজোটের প্রার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকার বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ বিরোধীদল ও জোটগুলোর কোনো দাবিই মানা হয়নি। সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারসহ নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠিত করা হয়নি। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।
নির্বাচনের অনিয়মের কথা তুলে ধরে গাজীপুর-৪ আসনের সিপিবির মানবেন্দ্র দেব বলেন, একাদশ সংসদ জাতীয় নির্বাচন হয়েছে ভূতে কিলানো নির্বাচনের মতো। এবার সরকারিদলের জন্য কোনো আচরণবিধি ছিল না। বিরোধীদলের জন্য শুধু আচারণবিধি ছিল।
কিশোরগঞ্জ- ৪ আসনের বাম দলের প্রার্থী এনামুল হক ইদ্রিস বলেন, ভোটের দিন সরকারিদলের লোকজন ভোটকেন্দ্রে জবর-দখল করে রেখেছিলো। কাউকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি। বিরোধীদলের কোনো পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
কুড়িগ্রাম -৪ আসনের প্রার্থী আবুল বাসার মনজু ভোটগ্রহণের আগের রাতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।