
এসবিনিউজ ডেস্ক: আজ ২৯ নভেম্বর আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবস। দিবসটি পালিত হয়ে আসছে ১৯৮৭ সাল থেকে । এ উপলক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বার্তা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, বরাবরের মতোই একটি স্বাধীন ও টেকসই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে বাংলাদেশ। আত্মনিয়ন্ত্রণের পূর্ণ অধিকার রয়েছে ফিলিস্তিনিবাসীর।
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ তার বার্তায় বলেন, আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি ফিলিস্তিনিদের প্রতি । আমরা মনে করি, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সঙ্কটের সমাধান একটাই, আর সেটা হলো ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সূচনা করতে হবে। সেইসঙ্গে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘন এখনই বন্ধ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেম-আল কুদস আল-শরীফকে রাজধানী করে দ্বি-রাষ্ট্র নীতির ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও টেকসই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে আমাদের নীতিগত অবস্থানের বিষয়টি পুনরুল্লেখ করছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকেই তার এই অবস্থানে অটল রয়েছে। ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গণহত্যার যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতিই আমাদেরকে ফিলিস্তিনীদের উপর হওয়া অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রেরণা যুগিয়েছে। ফিলিস্তিনীদের উপর বহু বছর ধরে অন্যায় করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এই সংকটের দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই নীতির আলোকে বাংলাদেশ মিয়ানমারের ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরর্ণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে এবং এই সংকটের একটি টেকসই সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। বাংলাদেশ নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ ফিলিস্তিনী জনগণের উপর দখলদার বাহিনীর শক্তি প্রয়োগের জোরালো বিরোধীতা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতাই ফিলিস্তিনী জনগণের দুর্দশার জন্য দায়ী।
এই দিনে বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী ফিলিস্তিন ও এর ভূখন্ডগত স্বার্বভৌমত্বের পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আছে উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমরা অবিলম্বে ফিলিস্তিনীদের বাড়িঘর ধ্বংস এবং দখলদার বাহিনীর অব্যহত আগ্রাসন ও অবৈধ স্থাপনা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর এই অব্যহত মানবাধিকারের লংঘনের অবসানের আহ্বান জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনীদের মানবাধিকার রক্ষায় এবং জাতিসংঘ প্রস্তাব, আরব পিস ইনিশিয়েটিভ ও কার্টেট রোড ম্যাপের আলোকে এই সংকটের একটি টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।