
স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, “সারাদেশের হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী বিনাঅপরাধে কারাগারে বন্দী। এমন একটা পরিবেশে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ভোট ডাকাতির মধ্যদিয়ে সারাদেশে জয়জয়কার মঞ্চস্থ করেছে আওয়ামী লীগ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে বরণ করেছেন। ইতিহাসে এটাও নজিরবিহীন। ৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত ইতিহাসের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্র হত্যা করে এক দলীয় শাসন বানিয়েও বাকশাল কায়েম করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইতিহাস খুবই নির্মম। ইতিহাসের শিক্ষা চরম সত্য শিক্ষা। জনগনের ভোটাধিকার ও স্বাধীনতা হরণ করে কোন শাসক চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, আ’লীগও পারবে না। হামলা-মামলা ভয়ভীতিতে নেতাকর্মীরা আরও পরীক্ষিত শানিত হয়েছেন। এবার দুর্বার আন্দোলনে নামলে শেখ হাসিনা সরকারের শেষরক্ষা হবে না।”
বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক বন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গণগ্রেফতার বন্ধের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, জনগনের স্বতস্ফুর্ত ভূমিকা ছাড়া এ সরকারকে বিতাড়িত করা সম্ভব নয়। যে শিক্ষা দিয়েছে শেখ হাসিনা; সেই শিক্ষা দিয়েই তাদের উচিত জবাব দিতে হবে। জনগনকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। সারাদেশে বিনাঅপরাধে বন্দী নেতাকর্মীকে অবমুক্ত করতে হবে এই শেখ হাসিনার কারাগার থেকে। তাই নির্যাতিত দেশবাসী আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে এ সরকারের বিদায় ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি। ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে আনি। এ ধরনের একটা ডাকাতির নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশ চলতে পারে না।
খুলনার পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “এখন মামলা করতে কোন ঘটনা লাগে না। থানায় বসে ঘটনা তৈরি করে, মামলা তৈরি করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিনাকারণেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। অভিযুক্ত করে চার্জশীট দিচ্ছে পুলিশ। খুলনার থানার ওসি নির্বাচনের আগেই একটি গায়েবী মামলার চার্জশীট দাখিল করেছে। যদি আমরা বেঁচে থাকি একদিন এসবের জবাবদিহি করতে হবে ইনশাআল্লাহ। আইনের শাসন ও ন্যায় বিচারকে ভূলুণ্ঠিত করে নিশ্চিতে থাকতে পারবেন না। বাড়ী বাড়ী পুলিশ পাঠিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়, বাড়ীঘর ভাঙচুর করে এ কেমন পুলিশ বাহিনী? এর বদলা নেয়া হবে একদিন; তৈরী থাকেন আপনারা।
নগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামা মুরাদ’র পরিচালনায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, শাহারুজ্জামান মোর্তুজা, শেখ মোশারফ হোসেন, সেকেন্দার জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান অপু, নজরুল ইসলাম বাবু, মেহেদী হাসান দীপু, শফিকুল ইসলাম তুহিন, শাহিনুল ইসলাম পাখী, আজিজুল হাসান দুলু, মুজিবর রহমান, সাদিকুর রহমান সবুজ, ইকবাল হোসেন খোকন, সেখ সাদী, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, মুর্শিদ কামাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, কেএম হুমায়ুন কবির, একরামুল হক হেলাল, হাসানুর রশিদ মিরাজ, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নাজমুল হুদা সাগর, শরিফুল ইসলাম বাবু, হেলাল আহমেদ সুমন, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, নাজির উদ্দীন নান্নু, ইমাম হোসেন, শেখ জামিরুল ইসলাম, বদরুল আনাম, বেলায়েত হোসেন, আবু সাঈদ শেখ, তরিকুল ইসলাম, মাহবুব হোসেন, রবিউল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, মহিউদ্দিন টারজান, বাবু মোড়ল, আসলাম হোসেন, মোতলেবুর রহমান মিতুল, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, লিটন খান, আঃ আলিম, আরমান হোসেন, আনিসুর রহমান আরজু, কাজী মাহমুদ আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, ডাঃ ফারুক হোসেন, নূরে আব্দুল্লাহ, জাহিদুর রহমান রিপন, মাজেদা খাতুন, আনজিরা খাতুন, মনিরুল ইসলাম, ওহেদুজ্জামান, কাজী নজরুল ইসলাম, হেদায়েত হোসেন প্রমুখ।