
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি: সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীখালে আবারো অসাধু জেলেরা বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত কয়েক বছর ধরে এ ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বন বিভাগ বিষ দিয়ে মাছ শিকার ঠেকাতে ভেষালি জালের পাশ পারমিট বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও থেমে নেই জেলেদের অশুভ তৎপরতা। বড় ফাঁসের চরপাটা জাল দিয়ে মাছ ধরার অনুমতি থাকলেও নিয়মের তোয়াক্কা না করে অসাধু জেলেরা ছোট ঘন ফাঁসের চরপাটা জালে হরহামেশে মাছ ধরার কারণে সম্প্রতি বন বিভাগ চরপাটার পাশ পারমিট বন্ধ করে।
সূত্র জানায়, সুন্দরবনের আড়–য়া শিবসা, মার্কি, আদাচাকি, চালকি, হংসরাজ, মোল্লাখালি, খড়খড়ি, বজবজা, খাসিটানা, ছেড়া, ভোমরখালি, গেওয়াখালি, পাথকষ্টা, কালিরচর, নীলকমল, মান্দারবাড়ি, নোটাবেকি, শাপখালি, টেংরাখালি, আগুনজ্বালাসহ বনের অন্যান্য নদীখালে রিপকর্ড বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করছে জেলেরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়রা এলাকার কয়েকজন জেলে জানায়, জোড়শিং, পাতাখালি, মঠবাড়ি, তেতুলতলাচর, শেখেরকোনা, কালিবাড়ি, খোড়লকাটিসহ কয়রা সদরের ৪, ৫ ও ৬নং কয়রার শত শত জেলে অতি গোপনে ভেষালি জাল ও রিপকর্ড বিষের বোতল পলিথিনের প্যাকেটের মধ্যে ভরে নিয়ে সুন্দরবনে লুকিয়ে রাখছে। এ সকল অসাধু জেলেরা বনের ভেতরের ছোট নদী খালে বিষ ঢেলে মাছ শিকার শেষে জাল ও বিষের বোতল পলিথিনের প্যাকেটের মধ্যে ভরে বনের ভেতরে লুকিয়ে রেখে ডিঙ্গি নৌকা ভর্তি চিংড়ি মাছ রাতের অন্ধকারে বাড়িতে নিয়ে এসে স্থানীয় মৎস্য আড়ত ও শুটকিঘর মালিকের কাছে বেচা বিক্রি করতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক আবু সালেহ বলেন, বিষ দিয়ে মাছ শিকার ঠেকাতে বন বিভাগ টহল জোরদার করেছে। গত কয়েকদিনে অভিযান চালিয়ে ৬ জন জেলেকে জাল নৌকা সহ আটক করা হয়েছে।