শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩ ❙ ১০ চৈত্র ১৪২৯

সরকারের সমালোচনা করা ছাড়া বিএনপির আর কিছুই করার নেই: সেতুমন্ত্রী

এসবিনিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সবকিছুতেই সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার আর সমালোচনা করা ছাড়া বিএনপির আর কিছুই করার নেই। সরকারের কোনো একটা ভালো কাজের প্রশংসা তাদের মুখ দিয়ে বের হয় না, তারা সাদাকে সাদা আর সত্যকে সত্য বলতে পারে না। বিরোধীতাই তাদের একমাত্র রাজনৈতিক কৌশল।
বুধবার (১১ নভেম্বর) সংসদ ভবন এলাকার তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে একথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি প্রশ্ন করেন বিএনপি কীভাবে গণতন্ত্রের বিকাশমান রংধনুতে রঙ যুক্ত করবে? আমেরিকার নির্বাচন শুধু নির্বাচন কমিশনের নয়, বিরোধীদলেরও শেখার অনেক কিছু আছে। দেশের নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার আওতায় থেকেই কমিশন কাজ করছে।
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বিএনপির যেই দলগত ভূমিকা জনগণ প্রত্যাশা করে তা থেকে তারা বহুদূরে অবস্থান করছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপির রাজনীতির পথ ষড়যন্ত্রের, গণতন্ত্রের নয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দলটি জন্ম থেকে এ পর্যন্ত তা প্রমাণ করেছে বারবার।
মির্জা ফখরুলের বিচার বিভাগ নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং চাপমুক্ত হয়ে কাজ করছে। সাম্প্রতিক নানা ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রায় এসেছে এবং শাস্তি ভোগ করছে, সরকার কোন কিছুতেই হস্তক্ষেপ করেনি ৷ এ থেকেই প্রমাণ হয় বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবেই কাজ করছে। বিএনপির পক্ষে রায় গেলে তারা বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানায় আর বিপক্ষে গেলে বলে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) স্বাধীনভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকারি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছে, শাস্তি হয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট যে দুদকের ওপরও সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।
ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন বিষয়ে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজেদের ভরাডুবি টের পেয়ে বরাবরের মতো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, সরকার না কী জনগণের মনের ভাষা বুঝতে পারে না ৷ শেখ হাসিনার অবস্থান জনগণের মণিকোঠায়। এদেশের রাজনীতিতে ৭৫ পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদের নাম শেখ হাসিনা।

Related posts