
ঢাকি প্রতিনিধি: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ডাউনলিংক করা বিদেশি টিভি চ্যানেলে বিনা অনুমতিতে বিদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার আইনত অপরাধ। এটি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে সূচিত সম্প্রচার মাধ্যমের বিকাশ অব্যাহত থাকবে।
শুক্রবার (৮ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্র মিলনায়তনে নবগঠিত ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের প্রথম সম্প্রচার সম্মেলন ও কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানান।
অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সভাপতি রেজওয়ানুল হক, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, সারাবাংলা ডটনেট, দৈনিক সারাবাংলা ও জিটিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজাসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নতুন সরকার গঠনের পরপরই মন্ত্রিপরিষদের প্রথম সভায় নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রথম বৈঠকে নতুন করে কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী সেটির অনুমোদন দিয়েছেন। নবম ওয়েজ বোর্ডের ভেতরে সম্প্রচার সাংবাদিকদের বেতনের ক্ষেত্রে আলাদা নীতিমালা করার কথা বলা আছে। টেলিভিশনগুলোতে যেন সঠিক সময়ে বেতন হয়, সে বিষয়ে মালিকদের নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশে বেসরকারি চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয়েছে। ১৯৯৬ সালে যখন তিনি প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন তখন প্রথম প্রাইভেট চ্যানেল যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৪৪টির মধ্যে ৩০টিরও বেশি বেসরকারি টিভি সম্প্রচারে আছে। এটি পশ্চিম বাংলার থেকেও বেশি। গত দশ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ গণমাধ্যম যথেষ্ট স্বাধীনভাবে কাজ করছে। গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষায় একাধিক নীতিমালা করা হয়েছে।
পরে ‘সম্প্রচার শিল্প : সম্ভাবনা ও সংকট’ প্রতিপাদ্যে এটিএন নিউজের হেড অব নিউজ মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, রুবানা হক, শাকিল আহমেদসহ অন্যরা।
গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত সক্ষমতা বাড়ানোসহ কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করতে যাত্রা শুরু করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার। বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত কর্মীদের কাজের নিরাপত্তা, ঝুঁকি মোকাবিলাসহ গবেষণা ও নীতি সহায়তায় কাজ করবে এই কেন্দ্রটি।