
স্টাফ রিপোর্টার: খুলনার পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ডসহ খুলনা-মংলা মহাসড়কের দু’পাশে গড়ে ওঠা আড়াই’শ অবৈধ স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে পাকা, আধাপাকা ঘর বাড়ি ও দোকানপাট। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ। গত এক দশকের মধ্যে সরকারি এ দপ্তরটির এটিই সবচেয়ে বড় উচ্ছেদ অভিযান।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যশোর-খুলনা-মোংলা ও খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের দুই পাশে সরকারি সম্পত্তি দখল করে প্রভাবশালীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিল দীর্ঘদিন। গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে সারা দেশেই এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরপর নড়ে চড়ে বসে সওজ খুলনার কর্মকর্তারা। এরপর থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি এবং মাইকিং করে এসব স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু দখলদাররা এগুলো অপসারন না করায় পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এসব স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। খুলনার পূর্ব রূপসা বাসস্টান্ড থেকে কুদির বটতলা নামক স্থান পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার ব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সওজ খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত মেহনাজ (উপ-সচিব) এবং খুলনা জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরান খান। উপস্থিত ছিলেন উপ সহকারী প্রকৌশলী মশিউর রহমান খান, সার্ভেয়ার মো. সাইফুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান।
সওজ খুলনার উপ সহকারি প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মোমেন বলেন, মন্ত্রীর নির্দেশের পর আমরা অবৈধ স্থাপনা অপসারনের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেই। সংশ্লিষ্ট এলাকায় কয়েকদিন মাইকিং করি। এরপরও যেসব দখলদার জায়গা খালি করেনি সেসব জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, এ অভিযান নিয়মিত ভাবেই চলবে। দখলমুক্ত করা জায়গায় পুনরায় দখল করা হলে মামলা পরিচালনা করা হবে।