
এসবিনিউজ ডেস্ক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের পর লাশ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শশুর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
পরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর উপ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে তার শশুর হাজী শামসুদ্দিন সরকারের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ খুনির লাশ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এলাকাবাসীর দাবি, রাতের আঁধারে এই খুনির লাশ সোনারগাঁওয়ে এনে দাফন করে আমাদের কলঙ্কিত করা হয়েছে। লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে সোনারগাঁওকে কলঙ্কমুক্ত করা হোক।
শম্ভুপুরা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা মোতালেব মিয়া বলেন, আমাদের ঘুমের ঘোরে রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মাজেদের লাশ তার চাচা শ্বশুর আলী আক্কাস এখানে দাফন করেছেন। এ লাশ উত্তোলন করে ইউনিয়নবাসীকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। নয়তো সারা জীবন এ কলঙ্ক আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে।
শম্ভুপুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি টিটু বলেন, এই ইউনিয়নে খুনির লাশের কবর রাখতে দেওয়া হবে না।
সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায় ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম বলেন, কাউকে না জানিয়ে রাতের আঁধারে এ খুনিকে সোনারগাঁয়ে দাফন করা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এ লাশ উত্তোলন করার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে শনিবার বিকেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর তার লাশ ভোলার মাটিতে না পাঠানোর দাবি জানান ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। শনিবার বিকালে তার নির্বাচনী এলাকা লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।