বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ❙ ৬ আশ্বিন ১৪৩০

ময়ূর নদী দখলমুক্ত করার অভিযান শুরু

স্টাফ রিপোর্টার: খুলনার ময়ূর নদীসহ মহানগরীর অভ্যন্তরে ২২ খালের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নগরীর গল্লামারী ব্রীজের পশ্চিম পাশে ময়ূর নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে নদীর দুই পাড়ের অবৈধ কাঁচা, সেমিপাকা, পাকা স্থাপনা ক্রেন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অভিযান চলার সময় উপস্থিত ছিলেন বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো দেলোয়ার হোসেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন ময়ূর নদীসহ মহানগরীর অভ্যন্তরে ও পার্শ্ববর্তী খালসমূহের অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি বলেন, ময়ূর নদীসহ ২২খালের স্বাভাবিক গতি প্রবাহ ফিরিয়ে আনা, খুলনার সৌন্দর্যবর্র্ধন এবং বসবাসের উপযোগি সুন্দর নগরীতে পরিণত করার লক্ষ্যে সকল অবৈধ স্থাপনা সম্পূর্ণরূপে দখলমুক্ত করা হবে।
খুলনা জেলা প্রশাসন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি), পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি ও সেটেলমেন্ট অফিস যৌথভাবে দখলমুক্ত করার কাজ বাস্তবায়ন করছে। তিনটি পদক্ষেপের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে কাজগুলো সম্পন্ন হবে। উচ্ছেদ কার্যক্রম সফল করার জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট টেকনিক্যাল কমিটি এবং ২৫ সদস্য বিশিষ্ট উদ্ধার কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন মহানগরীর অভ্যন্তরীণ ও পার্শ্ববর্তী খালসমূহের বর্তমান অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফউজ্জামান বলেন, প্রভাবশালীরা ময়ূর নদীতে পাটা ও বাঁধ দিয়ে প্রতিদনই দখল কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। পৈত্রিক সম্পত্তির মতো গাছপালা লাগানো ও চাষাবাদসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা, এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পাকা বাড়ী-ঘর ভবন নির্মাণ করেছেন অনেকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তিন যুগ আগেও ময়ূর নদীতে পালতোলা নৌকা চলাচল করতো। অনেক জেলে পরিবারের জীবিকার মূল উপজীব্য ছিল এ নদী। অথচ এখন দখল ও দূষণে আর ব্যবহারের উপযোগী নেই ময়ূর। ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ বর্তমানে ¯্রােতহীন ময়ূর নদীর সাথে একসময় রূপসা নদীর সরাসরি সংযোগ ছিল। দখলে নদী হারিয়েছে নিজস্বতা।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটিসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সামাজিক সংগঠন নদী-খাল দখল মুক্তকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছে।

Related posts