
স্টাফ রিপোর্টার: ময়ূর নদীসহ সংযুক্ত সকল খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন জনউদ্যোগ, খুলনা। নেতৃবৃন্দ বলেন, মহানগরীর পশ্চিম সীমানা দিয়ে বয়ে যাওয়া ময়ূর নদী জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকীর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নগরীর বর্জ্য আর মানব বর্জ্যে ভরা এ নদী প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে চলেছে রোগ জীবানু আর মশা মাছির উপদ্রব। প্রায় ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীতে কোন প্রকার জলজ প্রাণি বেঁচে থাকার উপায় নেই। নগরী থেকে নর্দমার মাধ্যমে বয়ে আসা বিষাক্ত পানি নয়ূর নদীর পরিবেশ বিপর্যস্ত করে তুলেছে। নদীর পাড়েই গড়ে উঠেছে লিনিয়র পার্ক। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা এখানেই প্রতিদিন ঘোরাফেরা করতে আসে। তারা নদীর তীরে মুক্ত হাওয়া উপভোগ করার বদলে দুর্গন্ধে দূরে সরে যায়। গল্লমারী জোড়া ব্রিজে বর্জ্য বেধে গোটা নদীই এখন যেন মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। তীব্র গন্ধে ব্রিজের ওপর দিয়েও পারাপার হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। নদীর দু’তীরের আবাসস্থল যেন দিন রাত গন্ধের মাঝে হাবুডুবু খাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন থেকে কয়েক দফা নদী খননের উদ্যোগ নিলেও তেমন কোন কাজে আসেনি। এ নদীর বর্জ্যে ভরে গেছে আলুতলা দশ গেট। গেট দিয়ে পানি সরবরাহের কোন সুযোগ নেই। প্রতিনিয়ত দু’তীরের মানুষ রোগ ব্যাধিতে ভুগছে। নগরীর ড্রেনগুলো বর্জ্যে ভরে গেছে। নেতৃবৃন্দ নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ফুটপাত একদিকে উচ্ছেদমুক্ত হচ্ছে আর একদিকে আবার বসছে। যেন চোর পুলিশের খেলা চলছে। এর একটি পরিত্রাণ হওয়া উচিত বলে মনে করেন।
রোববার সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে জনউদ্যোগের সভা সংগঠনের সদস্য সচিব মহেন্দ্র নাথ সেনের সভাপতিত্বতে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।