মার্চ মাসের মধ্যেই মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা

এসবিনিউজ ডেস্ক:স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার এবং পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘৃণা প্রকাশের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় একটি ঘৃণা স্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ফেব্রুয়ারি) সংসদে সরকারি দলের সেলিম আলতাফ জর্জের এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক আরো জানান ঘৃণা স্তম্ভ স্থাপন প্রকল্পের জায়গা নির্বাচনের কাজ চলছে।
তিনি এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশের প্রত্যেক এলাকায় সেখানকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা টানিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণে চলতি অর্থবছরে ২ হাজার ২শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। অচিরেই এ প্রকল্প একনেকে উত্থাপন করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের এ সব বাড়ির নাম বীর নিবাস রাখা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিগত পাঁচ বছর আগে দুই লাখের উপর মুক্তিযোদ্ধারা ভাতা পেতেন। আমি মন্ত্রী হয়ে প্রায় ২০ হাজারের অধিক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়েছি। বর্তমানে ১ লাখ ৮২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন। এখনও সেই কাজ চলমান আছে।’
তিনি জানান, যাদের ব্যাপারে আপত্তি আছে তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলমান থাকবে। যাচাই-বাছাইয়ে যারা টিকবে তাদের তালিকা পরে প্রকাশ করব।
তিনি আরো বলেন, সরকার তৃণমূল পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের পৃথক পরিচয় পত্র প্রদান করা হবে বলেও উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যে সমস্ত তালিকার বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি নেই, যেমন ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তি বার্তা। মুজিবনগর সরকারের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন, যারা বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীতে থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, এ ছাড়াও নার্স, শিল্পী-কলাকুশলী যাদের ব্যাপারে কোনো আপত্তি নেই তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনানুযায়ী আগামী মাসের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

Related posts