
এসবিনিউজ ডেস্ক: ভারতের উড়িষ্যায় তাণ্ডব চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে শুক্রবার (৩ মে) মধ্যরাতে। এসময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
সন্ধ্যায় ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল।
সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, ফণী বাংলাদেশে আঘাত হানবে মধ্যরাতে। তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল বলেন, ‘ফণী’র সতর্কতা জারির পর বিকেল পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জনকে। সন্ধ্যার পর পর্যন্ত এ সংখ্যা ১৫ থেকে ১৮ লাখে পৌঁছানোর আশাবাদ আমাদের।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, দুর্যোগ পরিস্থিতির জন্য যে প্রস্তুতি আছে, আশা করি আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারবো। কোনো প্রাণহানি হবে না না বলে আমাদের প্রত্যাশা।
এদিকে ওড়িষায় আঘাত হানার পর পশ্চিমবঙ্গের দিকে যাচ্ছে ফণি। পশ্চিমবঙ্গ হয়ে রাতে খুলনা উপকূল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। প্রথমে খুলনা উপকূলে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের ওড়িষা উপকূল ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও কিছুটা দুর্বল হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ৩ মে মধ্যরাত নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছাতে পারে। খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হয়েছে।