বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ❙ ১২ আশ্বিন ১৪৩০

প্রযুক্তির উদ্ভাবনে আগামী ৫ বছরের বাংলাদেশ হবে অচিন্ত্যনীয়’

এসবিনিউজ ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগ হচ্ছে উদ্ভাবনের যুগ। চলমান ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের এই যুগে যারা উদ্ভাবন করবে না তারা টিকবে না, বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং। তিনি বলেন, উদ্ভাবনের দিক থেকে বাংলাদেশ এক অপার সম্ভাবনাময় দেশ। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তন হবে অচিন্ত্যনীয়।
মন্ত্রী শনিবার (১ মে) ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ইনোভেশন শোকেসিং ২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শিল্প যুগে প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে। প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লবে উদ্ভাবনের নেতৃত্বে ছিল আমেরিকা ও ইউরোপ এবং এশিয়ায় জাপান। এখন আর তারা সেই নেতৃত্বের জায়গায় থাকছে না। কারণ তাদের তরুণ জনগোষ্ঠীর অভাব। আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠী খুবই মেধাবী। তরুণদেরকে কাজে লাগাতে হবে উদ্ভাবনের জন্য। বাংলাদেশ গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে রূপান্তরের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি দেখিয়েছেন তা বিস্ময়কর। সরকার এ ব্যাপারে শত বছর অতিক্রম করে আসছে।
টেলিকম বিভাগের সাথে জনগণের নিবিড় সম্পৃক্ততার প্রসঙ্গ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় এ বিভাগের সাম্প্রতিক উদ্ভাবন ফলপ্রসূ ভূমিকা রেখেছে। মন্ত্রী জাতিকে আরো নতুন নতুন উদ্ভাবন উপহার দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) ড. মোঃ শামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, এটুআই পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের চিফ ইনোভেটর অফিসার মোঃ আজিজুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী এর আগে ইনোভেশন শোকেসিং ২০১৯ পরিদর্শন করেন। ইনোভেশন শোকেসিং ২০১৯ এ প্রদর্শিত উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবনীগুলোর মধ্যে ছিল বিটিআরসি এর আইএমইআই ডাটাবেস ও এনওসি স্বয়ংক্রিয়করণ এবং কেন্দ্রীয় বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ প্লাটফরম। বিটিসিএল এর ডায়ালার, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা নগদ এবং টেলিটক এর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ভর্তি ব্যবস্থা ও ফলাফল যাচাইকরণ এবং আইভিআর ব্যবহার করে দুর্যোগের আগাম বার্তা প্রদান। এই উদ্যোগসমূহের সার্বিক সহায়তায় ছিলো এটুআই, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ইউএস এআইডি এবং ইউএনডিপি।

Related posts