বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ❙ ১২ আশ্বিন ১৪৩০

প্রকল্প পরিচালকদের এলাকায় থাকার নির্দেশ পরিকল্পনামন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার: প্রকল্প পরিচালকদের এলাকায় থেকে কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনা বিভাগের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই নির্দেশ দেন। খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ণ বিভাগ এই পর্যালোচনা সভার আয়োজন করে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার চলতি অর্থবছরে এক লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশব্যাপী এক হাজার পাঁচশত সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে খুলনা বিভাগে তিন হাজার চারশত ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গৃহীত এ সকল প্রকল্পের মান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে, যাতে করে জনগণ এর সুফল ভোগ করতে পারে।
এক ব্যক্তি একাধিক প্রকল্পের পরিচালক থাকতে পারবে না উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা চাই প্রতিটি প্রকল্প গুণগতমান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়িত হোক। এজন্য প্রকল্পের পরিচালক যিনি থাকবেন তাকে প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও দায়িত্ব নিতে হবে যেন ঐ প্রকল্পের মান নিয়ে জনগণের মনে কোন সংশয় না থাকে।
সভায় খুলনা বিভাগের ৫৮টি প্রকল্প পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী ঐতিহ্যবাহী যশোরÑখুলনা মহাসড়ক নির্মাণ কাজ, কয়রা-পাইকগাছা এলাকায় ৫৫ কিমি বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ প্রদান করেন।
বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ পর্যালোচনা সভায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি’র সচিব আবুল মনসুর মোঃ ফয়েজউল্লাহ ও মহাপরিচালক মো: সিদ্দিকুর রহমান, ডিআইজি মোঃ দিদার আহমেদ, কেএমপি’র ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, সকল প্রকল্পের পরিচালক, খুলনা বিভাগের সকল জেলা প্রশাসকসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী খুলনা নগরীতে অবস্থিত ১৯৭১: জেনোসাইড-নির্যাতন আর্কাইভ ও যাদুঘর পরিদর্শন করেন। বিকেলে মন্ত্রী বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার নির্মাণাধীন খানজাহান আলী বিমানবন্দরের স্থান পরিদর্শন করেন।

Related posts