বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ❙ ১২ আশ্বিন ১৪৩০

পদ্মা সেতুতে বদলে যাবে অর্থনীতি

রহিম শেখ: পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতির জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্বার খুলে দিচ্ছে। পায়রা ও মংলাবন্দর, বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী এবং বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এতে কেবল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নয়, পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতিই বদলে যাবে। এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সেতু চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে সামগ্রিক উৎপাদন, সেবা, পর্যটন, শিল্প, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে যে ইতিবাচক গতি তৈরি হবে, প্রথম বছরে তার আর্থিক মূল্য দাঁড়াবে জিডিপির ১ দশমিক ২ শতাংশ। এজন্য পদ্মা সেতুকে ঘিরে পদ্মার দুই পাড়ে সিঙ্গাপুর ও চীনের সাংহাই নগরের আদলে শহর গড়ে তোলার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। অর্থনীতিবিদদের মতে, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা গেলে ভবিষ্যতে দেশের মোট জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
পদ্মা সেতু ঘিরেই সোনালী ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছেন দেশের ২১ জেলার মানুষ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া ২১টি জেলা হচ্ছে- খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা। বরিশাল বিভাগের বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি এবং ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী। পদ্মা সেতুর ওপারে সংযোগ সড়ক থেকে ভাঙ্গা উপজেলা থেকে তিনদিকে তিনটি রাস্তা চলে গেছে। এর একটি বরিশাল, একটি খুলনা অংশে, আরেকটি রাজবাড়ী, যশোর, বেনাপোলে। এ তিনটি সড়ক যুক্ত হবে মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও বেনাপোল স্থল বন্দরের সঙ্গে। ফলে তিন বন্দর দিয়েই আমদানি পণ্য দ্রুত ঢাকাসহ শিল্পাঞ্চলগুলোয় প্রবেশ করতে পারবে। এতে রফতানি পণ্যের লিড টাইম (ব্যাক টু ব্যাক এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি করে তা দিয়ে পণ্য তৈরির পর রফতানি করতে যে সময় লাগে) কমে যাবে। ফলে দ্রুত ব্যবসার রিটার্ন বা মুনাফা পাওয়া যাবে। এতে অর্থের চলাচল বাড়বে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবে বহুমুখী খাত। সেতুর মাওয়া অংশ থেকে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করবে। এতে পুরো দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে।
জানা গেছে, পদ্মার চরাঞ্চলে অলিম্পিক ভিলেজ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সিটি, হাইটেক পার্ক, বিমানবন্দরসহ নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। পদ্মা সেতুসংলগ্ন জাজিরার নাওডোবা এলাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে আধুনিক আবাসন, শিক্ষা-চিকিৎসাসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে। যার জন্য জমি অধিগ্রহণসহ বেশকিছু কাজ এগিয়েছে। ঢাকার বাইরে পদ্মা সেতুর আশপাশের এলাকায় গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রসার ঘটার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই সেতু হলে বছরে বিনিয়োগের ১৯ শতাংশ উঠে আসবে। কৃষি-শিল্প-অর্থনীতি-শিক্ষা-বাণিজ্য সব ক্ষেত্রেই এই সেতুর বিশাল ভূমিকা থাকবে। এই সেতু চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে সামগ্রিক উৎপাদন, সেবা, পর্যটন, শিল্প, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে যে ইতিবাচক গতি তৈরি হবে, প্রথমবছরে তার আর্থিক মূল্য দাঁড়াবে জিডিপির ১ দশমিক ২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রাপ্তির পরিমাণ হবে ৩৩ হাজার ৫৫৬ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। টাকার চলতি মূল্য অনুযায়ী এর আকার মোট ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পদ্মা সেতুর প্রভাবে জিডিপি দেড় শতাংশ বাড়লে অর্থনীতিতে প্রথম বছর সার্বিক অর্থমূল্য বাড়বে ৪১ হাজার ৯৪৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। জিডিপি ১.৩ শতাংশ বাড়লে সার্বিক অর্থনীতিতে ৩৬ হাজার ৩৫২ কোটি ৯১ লাখ ৪০ হাজার টাকার স্ফীতি ঘটবে। জিডিপি ১.২ শতাংশ বাড়লে টাকার অঙ্কে জিডিপি বাড়বে ৩৩ হাজার ৫৫৬ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। জিডিপি প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন এক শতাংশ ধরা হলে আর্থিক মূল্য বাড়বে ২৭ হাজার ৯৬৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সরকারের এক সম্ভাব্যতা জরিপে বলা হয়, সেতুটি নির্মিত হলে দেশের জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে পদ্মা সেতু কী ধরনের ভূমিকা রাখবে সে বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে জাতীয় অর্থনীতির সঙ্গে দক্ষিণ বাংলার অর্থনীতি যুক্ত হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বেড়ে জাতীয় আয়ে যোগ হবে। কারণ পদ্মা সেতুর সঙ্গে ওই অঞ্চলের অনেক অবকাঠামো উন্নত হচ্ছে। এই সেতুর কারণে আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বেড়ে যাবে। এশীয় হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে এই সেতুর যোগাযোগ। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণ বাংলার রাস্তাঘাট, টোলপ্লাজাসহ সবকিছুতে বড় ধরনের উন্নত হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এসব উন্নয়ন বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে এবং বিদেশী বিনিয়োগও বাড়বে। ড. আতিউর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু চালুর সুফল পুরোপুরি পেতে হলে দক্ষিণ বাংলায় নেয়া মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার। বিশেষ করে মংলা বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রসহ অন্যান্য প্রকল্পে গতি আনতে হবে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ বাংলার উদ্যোক্তাদের ভেতরে এক ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে কনফিডেন্স তৈরি হচ্ছে। এই সেতুকে ঘিরে শিপ বিল্ডিং, পর্যটন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) খাতের বড় ধরনের বিকাশ ঘটবে। ওই অঞ্চলে গড়ে উঠবে পর্যটন কেন্দ্র। ঢাকা থেকে সরাসরি সেখানে ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে যাবেন। এজন্য স্ট্যাচু অব লিবার্টির মতো দক্ষিণাঞ্চলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ করা যেতে পারে।
আতিউর রহমান বলেন, দক্ষিণাঞ্চল থেকে জলবায়ু উদ্বাস্তু অনেকে ঢাকায় চলে আসছেন। কিন্তু করোনায় ফিরে গেছেন বেশিরভাগ। পদ্মা সেতু চালুর পর ফিরে যাওয়া লোকজনের ৫০ শতাংশ আর ঢাকামুখী হবেন না। এতে ঢাকাসহ বড় বড় শহরে মাইগ্রেশনের চাপ কমবে। পাশাপাশি ওই অঞ্চলের কৃষি ও কর্মসংস্থানে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এজন্য তিনি দক্ষিণাঞ্চলের জন্য একটি পৃথক প্রণোদনা প্যাকেজ বা চলমান প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে সেখানে বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গবর্নর বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ চিকিৎসা, শিক্ষাসহ অন্যান্য সুবিধা নিতে সরাসরি ঢাকায় আসতে পারবেন। এই যোগাযোগের ফলে পুরো দক্ষিণ বাংলার চেহারাই পাল্টে যাবে।
সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পদ্মা সেতুর বহুমুখী কার্যক্রম নিয়ে একটি গবেষণা করেছে। ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেতুকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ে ২৯ শতাংশ বাড়বে নির্মাণ কাজ, সাড়ে ৯ শতাংশ কৃষিকাজের প্রবৃদ্ধি, ৮ শতাংশ বাড়বে উৎপাদন ও পরিবহন খাতের কাজ। এর প্রভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ কোটি লোকের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি হবে। ফলে পদ্মা নদীর ওপারে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার কমবে ১ শতাংশ। ওই অঞ্চলে দারিদ্র্য কমলে এর প্রভাব পড়বে সারাদেশে। তখন জাতীয়ভাবে দারিদ্র্যের হার কমবে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার বাড়বে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে জিডিপির আকার ৩২ লাখ কোটি টাকা। এ হিসাবে সেতুর কারণে জিডিপিতে বাড়তি জোগান হবে ৫৫ হাজার কোটি টাকা। সারাদেশে বাড়বে শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ। ফলে জাতীয়ভাবে বাড়বে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এভাবে জিডিপির আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সেতুর অবদানও বাড়বে। পদ্মা সেতু নির্মাণ করে লাভ কী হবে, তা নিয়ে ২০০৯ সালে আলাদা সমীক্ষা করে এডিবি ও জাপানের সহযোগিতা সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। এতে দেখা যায়, পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের অর্থনৈতিক প্রভাব বা ইকোনমিক রেট অব রিটার্ন (ইআরআর) দাঁড়াবে বছরে ১৮ থেকে ২২ শতাংশ। যানবাহন চলাচল যত বাড়বে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ততই বাড়বে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ সেতুর সড়ক ও রেললাইনের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চল এবং অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। উৎপাদক এবং ভোক্তাদের জন্য পণ্যের ন্যায্যমূল্যও নিশ্চিত হবে। অধ্যাপক মোস্তাফিজুর আরও জানান, সেতুটি দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও এর মাধ্যমে ভারত, নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে একটি সংযোগ তৈরি হতে পারে। পদ্মা সেতুর সুবিধা পাওয়ার জন্য এখন আমাদের যথাযথ কৌশল গ্রহণ করতে হবে। আমরা যদি এর সুবিধাগুলো কাজে না লাগাতে পারি তাহলে কেবল সেতু তৈরি করে কোন লাভ নেই। আমাদের এখন সেখানে অর্থনীতিভিত্তিক শিল্পের ওপর জোর দিতে হবে। শীঘ্রই এ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে কর্মসংস্থানের একটি চাহিদা সৃষ্টি হবে। সেই চাহিদা মেটাতে দক্ষ জনবল তৈরিতে সরকারের জোর দেয়া উচিত। এখন জেলাগুলোতে মানসম্পন্ন বিদ্যুত ও গ্যাস সেবা দেয়ার বিষয়টি সরকারকে চিন্তা করতে হবে, যেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক কাঠামো বিবেচনায় পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১.৩% বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করবে। তবে, অঞ্চলগুলোতে এখনই সঠিক কৌশল গ্রহণ করা গেলে এ প্রবৃদ্ধি পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
পদ্মা সেতু দিয়ে দৈনিক চলবে ২৪ হাজার যান: পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিবছর কী পরিমাণে যানবাহন চলাচল করবে, তা নিয়ে ২০০৯ সালে একটি বিস্তারিত সমীক্ষা করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এতে দেখা যায়, ২০২২ সালের শুরুতে যদি পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়, তাহলে ওই বছর সেতু দিয়ে চলাচল করবে প্রায় ২৪ হাজার যানবাহন। সংখ্যাটি প্রতিবছরই বাড়বে। ২০৫০ সালে প্রায় ৬৭ হাজার যানবাহন চলবে পদ্মা সেতু দিয়ে। এডিবির সমীক্ষা বলছে, পদ্মা সেতু দিয়ে ২০২২ সালে যে ২৪ হাজার যানবাহন চলবে, তার মধ্যে বাস চলবে ৮ হাজার ২৩৮টি, ট্রাক ১০ হাজার ২৪৪টি, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলবে ৫ হাজারের বেশি। সমীক্ষায় আরও প্রাক্কলন করা হয়েছে, ২০২৫ সালে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে দিনে যানবাহন চলাচল বেড়ে দাঁড়াবে ২৭ হাজার ৮০০টি। ২০৩০ সালে হবে ৩৬ হাজার ৭৮৫। ২০৪০ সালে দিনে যানবাহন চলাচল বেড়ে দাঁড়াবে ৫১ হাজার ৮০৭টি।_ দৈনিক জনন্ঠ অবলম্বনে

Related posts