
স্টাফ রিপোর্টার: নাশকতার আরেকটি মামলায় খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেসিসির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিসহ বিএনপির ৫২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত।
পুলিশের করা একটি মামলায় সোমবার খুলনা মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক এস এম আশিকুর রহমান চার্জগঠনের এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির এসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের ৩/৫ ধারায় অপরাধী বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর খুলনা সদর থানায় বিএনপির ৪৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনুকুল চন্দ্র ঘোষ।
এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা, লোহার রড, ইট-পাটকেলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে জনমনে ভীতি তৈরি করে। রাস্তায় চলাচলরত যানবাহন ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের নিবৃত করতে চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তারা পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বলেও এজাহারে অভিযোগ করা হয়।
২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল ৫২ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ওই বছরের ২৬ মে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। পরে বিচারের জন্য মামলাটি মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১-এ পাঠানো হয়।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর সোনাডাঙ্গা থানার আরেকটি নাশকতার মামলায় নগর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক ও সোনাডাঙ্গা থানা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদসহ ৪৮ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছিলেন বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত।
গত ২৫ আগস্ট পুলিশের দায়ের করা নাশকতার আরেক মামলায় খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ বিএনপির ৭০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক।
চার্জগঠন সম্পর্কে খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, সরকারবিরোধী দলমত দমনের সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কাল্পনিক অভিযোগের মামলাগুলো ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না।