
দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি: রূপান্তর-এর আয়োজনে ১৬দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন পক্ষের কর্মসূচি শেষ হয়েছে। এ পক্ষের শেষ দিনে দাকোপে আলোচনা সভা, মানববন্ধন, লিফলেট বিলিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। খুলনা জেলার ৯টি উপজেলা এবং সিটি কর্পোরেশনে এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।
দাকোপ আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, নারী নির্যাতন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা এবং অনেক অপরাধীর শাস্তি না হওয়া। নারী নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় নির্যাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে নারী নির্যাতন অনেকাংশে কমে যাবে।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দাকোপ দাকোপ উপজেলার বিআরডিবি মিলনায়তনে রূপান্তর-এর আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস ও পক্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউএসএইড, ইউকেএইড-এর সহায়তায় এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের টেকনিক্যাল সহায়তায় অনুষ্ঠিত এ সভায় দাকোপ নারী নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ প্লাটফর্ম-এর সদস্যবৃন্দসহ এ সভায় অংশ নেন সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্লাটফর্মের আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আকতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ও মানব বন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন দাকোপ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুরাইয়া সিদ্দিীকা, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এম. রুবাইয়্যাৎ আল আজাদ, চালনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও প্লাটফর্মের সদস্য সচিব এম এম আব্দুল গফুর ও লিপিকা রাণী বৈরাগী, তথ্য সেবা কর্মকর্তা শারমিনা তাজনীন, প্লাটফর্মের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং দাকোপ প্রেস ক্লাবের সভাপতি শচীন্দ্রনাথ ম-ল প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে দাকোপ উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। সভায় অংশগ্রহণকারীবৃন্দের মধ্যে দাকোপ নারী নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ প্লাটফর্ম-এর সদস্যবৃন্দ ছাড়াও তৃণমূল পর্যায়ে নারী নেত্রীবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে এই মানব বন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।
পরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে জনসচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করা হয়। এ ছাড়া নারী নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকারের জরুরী হটলাইন-এর তথ্য সম্বলিত দু’টি প্রচার বোর্ড স্থাপন করা হয় দাকোপ উপজেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে।