
স্টাফ রিপোর্টার: ধর্ষণের বিচার বিলম্বিত বা উপেক্ষিত হওয়ার কারণে মানুষের মাঝে বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য দ্রুত বিচার আইনে ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে রাজনেতিক দলগুলোর জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। পরিবার, কর্মক্ষেত্র ও জনস্থানে নির্যাতন ও যৌন হয়রানি বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান আইন ও এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। নারী ও শিশু আইন প্রয়োগের দুর্বলতা চিহ্নিতকরণ এবং তা যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। শুক্রবার (২১ জুন) নগরীর বিএমএ মিলনায়তনে ‘নারীর নিরাপত্তা ও অধিকার’ বিষয়ক নারী কনভেনশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। বেসরকারি সংগঠন জনউদ্যোগ, খুলনা এ কনভেনশনের আয়োজন করে।
কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, সরকার নারীর ক্ষমতায়ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সকল ক্ষেত্রে নারীকে মূল্যয়ন করছে সরকার। তবে, প্রয়োজনে নারীদেরকে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতাকালে অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) সোনালী সেন বলেন, প্রমাণের অভাবে ধর্ষণকারীরা রেহাই পাচ্ছে।
কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন ডা. শেখ বাহারুল আলম। অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদিরের সঞ্চালনায় ও অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শীলুর পরিচালনায় ধারণাপত্র পাঠ করেন নারী নেত্রী সুতপা বেদজ্ঞ। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভাষাসৈনিক অধ্যাপিকা মাজেদা আলী, বাগেরহাট সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, খুলনা জেলা পরিষদের সদস্য জেসমিন পারভীন জলি, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনিরা আক্তার, পারভীন আক্তার, মাজেদা খাতুন।
আলোচনায় অংশ নেন ফকিরহাট শহীদ স্মৃতি কলেজের উপাধ্যক্ষ রুমা নন্দী, বেসরকারি সংস্থা রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন গুহ, প্রফেসর ডা. সৈয়দা লুৎফুন নাহার নীলা, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট অলোকানন্দা দাস, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম।
নারী নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক খুলনা ঘোষণা পাঠ করেন মো. আসাদুজ্জামান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জনউদ্যোগ খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাথ সেন। বক্তৃতা করেন শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন, মাসুদ মাহামুদ, নারী বিকাশ কেন্দ্রের আশালতা ঢালী, ইসরাত আরা হীরা, এ্যাড: পপি ব্যানার্জী, এ্যাড: নুরুন্নাহার পলি, মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল নুর মোহাম্মদ, সেলিম বুলবুল, এস এম সোহরাব হোসেন, এ্যাড: অশোক কুমার সাহা, লুৎফুন হক পিয়া, খাদিজা পারভীন, মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মনিরা সুলতানা, সোহানা ফেরদৌসী হীরা, খাদিজা কবীর তুলিসহ নারী নেত্রীরা।
সভায় বক্তারা খুলনা ঘোষণা অনুয়ায়ী কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সভার শুরুতে জাতীয় সংগীতের পর নগরীতে একটি র্যালি বের হয়।