
স্টাফ রিপোর্টার: এবারের রমজানে টিসিবি’র পণ্য পাচ্ছে না দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৫ ডিলার। ইতিপূর্বে পণ্য উত্তোলন না করায় এবং নবায়ন না করায় তাদের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। জামানতের টাকাও সরকারি কোষাগারে নেওয়া হয়েছে। টিসিবি এবারের রমজানে এ অঞ্চলের ৪৫৮ ডিলারকে পণ্য দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে খুলনার গুদামে রমজানের পণ্য আসা শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান বাতিল হওয়া লাইসেন্স গুলো হচ্ছে, খুলনা নগরীর কে আর বি ট্রেডার্স, সুবর্ণা এন্টারপ্রাইজ, দেবব্রত সাধু, জেড আবেদিন ট্রেডার্স, মিলন ট্রেডার্স, মোঃ ফারুক আহমেদ, আহমাদ ব্রাদার্স, মীম এন্টারপ্রাইজ, আহম্মেদ ইমরান এন্ড ব্রাদার্স, ইউসুফ এন্টারপ্রাইজ, অভি সুইটস, জাহানারা ট্রেডার্স, সুমন ষ্টোর, নিউ সোনিয়া এন্টারপ্রাইজ, ফোর এস এন্টারপ্রাইজ, টি এন্ড টি এন্টারপ্রাইজ, নয়ন এন্টারপ্রাইজ, আমিরুল এন্টারপ্রাইজ, মামুন এন্টারপ্রাইজ, সোহাগ এন্টারপ্রাইজ, নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পিয়াস এন্টারপ্রাইজ, বিশাল এন্টারপ্রাইজ, লিয়া এন্টারপ্রাইজ, মোল্লা এন্ড সন্স ও দ্বীপ এন্টারপ্রাইজ।
টিসিবি’র খুলনাস্থ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল মোরর্শেদ জানান, এসব ডিলারদের জামানতের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। এবারের রমজানে তাদের অনুকুলে পণ্য বরাদ্দ হবে না। তিনি জানান, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, নড়াইল, মাগুরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলার ৪৮৮ জন ডিলার এবারে রমজানে পণ্য পাবে। এবার রমজানের জন্য ইতিমধ্যেই গুদামে ২শ’ মেট্রিক টন ছোলা, ১শ’ মেট্রিক টন মুশুরির ডাল, ৪৯০ মেট্রিক টন চিনি, সাড়ে ৩ লাখ লিটার সয়াবিন মজুদ করা হয়েছে। এই সূত্র জানান, ২০১৮ সালের রমজানে উল্লিখিত জেলা গুলেতে ২৫০ মেট্রিক টন ছোলা, ১৭৫ মেট্রিক টন মুশুরির ডাল, ২৫০ মেট্রিক টন চিনি, ২ লাখ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হয়। আগামী মাসে রমজানের পণ্য বিক্রি শুরু হবে।