
স্পোর্টস ডেস্ক: তাইজুল ইসলামের প্রিয় প্রতিপক্ষ খুঁজতে গেলে জিম্বাবুয়ের নামটাই সবার আগে আসবে। জিম্বাবুয়েকে সামনে পেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই ফরম্যাটের অভিষেকই রাঙিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তাইজুল, ২০১৪ সালে। একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গতকাল টি-২০ অভিষেকও স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি। মিরপুর স্টেডিয়ামে টি-২০ ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। ক্রিকেট ইতিহাসের ১৬তম বোলার হিসেবে টি-২০ তে এই কীর্তি গড়লেন তিনি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তাইজুল ব্রেন্ডন টেইলরকে (৬) ফেরানোর পর বাংলাদেশের বোলাররা ভালোই চেপে ধরেছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের। সেই চাপের বাঁধন ভেঙে ফেলতে সমর্থ হয়েছে জিম্বাবুয়ে। গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে রায়ান বার্লের হাফ সেঞ্চুরিতে ত্রিদেশীয় ট-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে দলটি। ৫ উইকেটে ১৪৪ রানের পুঁজি গড়েছে জিম্বাবুয়ে।
টেইলের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে মাসাকাদজা- ক্রেইগ আরভিন ৪৪ রানের জুটি গড়েছিলেন। তাদের প্রতিরোধ ভাঙেন মুস্তাফিজ। সপ্তম ওভারে আরভিন (১১) ফিরেন মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ দিয়ে। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের শিকার হন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক মাসাকাদজা। তিনি ৩৪ রান করেন। দ্রুত ফিরেছেন শন উইলিয়ামস ও মারুমা। ৬৩ রানে ৫ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন রায়ান বার্ল ও মুতুমবোজি। তারা ৮১ রানের জুটি গড়েন। ব্যাট হাতে তোপ দাগিয়েছেন বার্ল। সাকিবের করা ১৬তম ওভারে ৩০ রান (৩ চার, ৩ ছক্কা) নেন বার্ল। এর আগে কখনোই এক ওভারে এত রান দেন নাই সাকিব।
১৭তম ওভার শেষে বিদ্যুত্ বিভ্রাটের কারণে ৬ মিনিট বন্ধ ছিল খেলা। বার্ল ৩২ বলে অপরাজিত ৫৭ রান (৫ চার, ৪ ছয়), মুতুমবোজি অপরাজিত ২৭ রান করেন। বাংলাদেশের তাইজুল, সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজ, মোসাদ্দেক একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকে চলমান গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিটা গতকাল বিকেল অব্দি অব্যাহত ছিল। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘন্টা পর শুরু হয়েছিল ম্যাচ। সেই বিকেল থেকে অপেক্ষায় ছিলেন দর্শকরা। বৃষ্টির বাধা ঠেলে শুরু হওয়া ম্যাচের দৈর্ঘ্য ঠিক হয় ১৮ ওভার। বৃষ্টিস্নাত পরিবেশে টস জিতেই ফিল্ডিং নেন সাকিব। যদিও শুরুটা ভালো হলেও বোলিংয়ের শেষভাগ ভালো হয়নি বাংলাদেশের।