বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ❙ ১২ আশ্বিন ১৪৩০

‘জলাতঙ্ক একটি ভয়ংকর মরণব্যাধি’

স্টাফ রিপোর্টার: জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের লক্ষে খুলনা জেলায় ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম বাস্তাবায়নের জন্য উপজেলা পর্যায়ের অবহিতকরণ সভা শনিবার (৬এপ্রিল) খুলনার রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা (সিডিসি) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম গাজীর সভাপতিত্বে এই অবহিতকরণ সভায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় জানানো হয়, জলাতঙ্ক একটি ভয়ংকর মরণব্যাধি, যার মৃত্যুর হার শতভাগ। জলাতঙ্ক রোগটি মূলত কুকুরের কামড় বা আচঁড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়া বিড়াল, শিয়াল, বেজী, বানরের কামড় বা আচঁড়ের মাধ্যমেও এ রোগ হতে পারে। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় দুই থেকে তিন লাখ মানুষ কুকুর, বিড়াল শিয়ালের কামড় বা আচাঁড়ের শিকার হয়ে থাকে, যাদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। এ ছাড়াও প্রায় ২৫ হাজার গবাদি প্রাণী এ রোগের শিকার হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সকল জেলায় ৬৬টি জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব কেন্দ্র থেকে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত রোগীর আধুনিক ব্যবস্থাপনা এবং জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্তমানে চলমান এসকল কার্যক্রমের পাশাপাশি কুকুরের কামড়ের আধুনিক ব্যবস্থাপনা চালু রেখে ব্যাপকহারে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচির ম্যাধমে দেশের সকল কুকুরকে তিন রাউন্ড টিকা প্রদান করা গেলে ইস্পিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। গত কয়েক বছরের গৃহীত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতার ফলে বাংলাদেশে জলাতঙ্কের সংখ্যা হ্রাস পেতে শুরু করেছে। সভায় আরও জানানো হয়, সরকার জলাতঙ্কমুক্ত ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক দেওয়ার পাশাপাশি কুকুরে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকেও প্রতিষেধক টিকা দিতে হবে।
২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জলাতঙ্কমুক্ত করার লক্ষে ২০১০ সাল থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল কর্মসূচি বাস্তবায়ন চলছে।

Related posts