
এসবিনিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অভিঘাত মোকাবেলার লক্ষ্য নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদে এই বাজেট উপস্থাপন করবেন তিনি। এই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত থাকবেন। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সর্বাধিক বরাদ্দ রাখা হবে। এই খাতে ৩২ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকবে। এছাড়া নতুন বাজেটে কৃষি, জনপ্রশাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান খাতে অধিক বরাদ্দ রাখা হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটের এই আকার চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। টাকার অংকে যা ৬৬ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বেশি। চলতি (২০১৯-২০২০) অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেটে এর আকার দাঁড়ায় ৫ লাখ ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। নতুন এই বাজেটের আকার চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের ন্যায় জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৩ কোটি টাকা। এছাড়া কর বহির্ভূত অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। মোট ঘাটতির পরিমাণ ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ শতাংশ।
জানা গেছে, আগামী বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয়বাবদ খরচ ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেতন-ভাতাবাবদ ব্যয় রাখা হচ্ছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সরবরাহ ও সেবাবাবদ ব্যয়ে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধবাবদ রাখা হচ্ছে ৬৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। সরকারি প্রণোদনা, ভর্তুকি ও অনুদান বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ থাকছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।