মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩ ❙ ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

‘গোল্ডেন রাইস’ আনছে সরকার

এসবিনিউজ ডেস্ক: ভিটামিন-এ’র ঘাটতি পূরণে সরকার ধানের নতুন জাত গোল্ডেন রাইস’ উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই গোল্ডেন রাইসের ছাড়পত্র পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশ রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও ইরি মিলে ‘গোল্ডেন রাইস’ আবিষ্কার করেছে। এরইমধ্যে আমেরিকার ড্রাগ অ্যান্ড ফুড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এটার ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে। কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার সরকারও এটার ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে যে, গোল্ডেন রাইস নিরাপদ, শরীরের জন্য এতে কোনো ঝুঁকি নেই, এটা নিরাপদ।’
তিনি বলেন, “এটা এখন আমাদের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্সের অপেক্ষায় আছে। আমরা আশা করছি আমরাও অতিদ্রুত ক্লিয়ারেন্স’ পাব। পরিবেশ মন্ত্রণালয় এজন্য কমিটি করেছে। এই ব্যাপারে তারা আলাপ করেছে, এটা যাতে তাড়াতাড়ি রিলিজ হয়। আমার আশা করছি গোল্ডেন রাইসটা খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশে রিলিজ হবে।”
তিনি বলেন, এশিয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে ইরির একটা বিরাট অবদান রয়েছে। আমাদের গরিব মানুষ অনেক সময়ই পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে না, কিনতে পারে না। ভিটামিন-এ আমাদের বিরাট সমস্যা। আমরা যেহেতু চাল খাই, তাই চালের মধ্যেই ভিটামিন-এ ও ক্যারোটিন থাকলে তা পুষ্টি সমস্যা সমাধানে বিরাট অবদান রাখবে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের মানুষ তো শুধু চালই খায়, তারা চালের ওপর নির্ভরশীল। সারাদেশেই এটার একটা বিরাট প্রভাব পড়বে।”
তিনি আরও বলেন, বিআর-২৮ ও বিআর-২৯ এর মতোই গোল্ডেন রাইসের উৎপাদন পাওয়া যাবে। গোল্ডেন রাইসটা বেশ প্রমিজিং বলে আমরা মনে করছি। একটা নতুন অধ্যায় যোগ হবে। চালটার রং হবে গোল্ডেন। খরচ সাধারণ চালের মতোই হবে। অতিরিক্ত কোনো খরচ হবে না।’
পরিবেশের উপর এর প্রভাব পড়বে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমাদের পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবে কিনা এবং নিরাপদ কিনা এটা দেখার জন্য।’

Related posts