বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ❙ ৬ আশ্বিন ১৪৩০

গোলমরিচ কেন খাবেন?

এসবিনিউজ ডেস্ক: গোলমরিচের স্বাদটাই আলাদা। জ্বরের মুখে আলু মরিচ বা বাটার টোস্টে গোলমরিচের গুঁড়ো খেতে ভালোবাসেন না, এমন লোকের দেখা পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু শুধুই কি স্বাদ? উপকারের দিক থেকেও তো এর জুড়ি মেলা ভার। মিশকালো গোলমরিচের ওষধি গুণ শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে আর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কী কী বিশেষ গুণ আছে এই গোলমরিচের-
স্ট্যামিনা বাড়ায়
খুব হালকা গরম জলে গোল মরিচের গুঁড়ো ফেলে একটু নেড়ে নিয়ে হালকা হালকা চুমুক দিয়ে খেলে শরীরে শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ে। কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায়। শরীরে জলের মাত্রা কমতে পারে না। সকাল বেলা এটা যদি খেয়ে নেন, আপনি সারা দিন মুক্তি পাবেন অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে।
ডিহাইড্রেশন কমায়
আপনার যদি ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থাকে, আপনাকে মৃদু গরম জলের সঙ্গে গোলমরিচ খেতেই হবে। ফলে শরীরে ক্লান্তি জমতে পারে না। গোলমরিচ আমাদের ত্বক মসৃন রাখে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি
আপনার কি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে? সকালবেলা অনেকটা সময় যুদ্ধ করতে হয়? এক কাপ হালকা গরম জলে লেবুর রস আর গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে টানা কদিন খেলে গ্যাস-এর সমস্যা কমে। কোষ্ঠ পরিষ্কার হয়।
ফ্যাট কমে
শরীর থেকে বাড়তি ফ্যাট টেনে নিতে গরমজলে গোলমরিচ খুব উপকারী। ক্যালোরি পুড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে গোলমরিচ। ঠান্ডা লাগলে গরম দুধে গোলমরিচ কষ্ট থেকে উপশম দেয়। যাদের প্রায়ই ঠান্ডা লাগে বা হাঁচি হয় ঘন ঘন, তাঁরা যদি কয়েকটা গোল মরিচ রোজ চিবিয়ে খেয়ে নেন, উপকার পাবেনই পাবেন। কচি নিমপাতার সঙ্গে তিন চারটি গোলমরিচ সকালে খালি পেটে চিবিয়ে খেলে সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সুতরাং অভ্যাসে না থাকলে অবিলম্বে আসক্ত হয়ে যান গোলমরিচে। হাতেনাতে পেয়ে যান সুফল।

Related posts