
স্টাফ রিপোর্টার: খুলনায় যে কোন ধরণের উৎসব বা অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি,পটকাবাজি, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ভারপ্রাপ্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এ বিষয়ে সচেতনতার লক্ষ্যে শনিবার (১৯ জানুয়ারি) কেএমপির পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। যা চলবে ৭ দিন পর্যন্ত।
কোন ধর্মীয়, সামাজিক, পারিবারিহ অথবা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে আতশবাজি, পটকাবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সাথে ফুটপাতে কোন দোকান না বসা, স্কুল কলেজের সামনে বিড়ি/সিগারেট বেচা কেনা করতেও নিষেধ করা হয়েছে। এ আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ করা হয়েছে। নগরবাসীকে এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
কেএমপির এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নগরবাসী। এ ব্যাপারে মহানগরীর পূর্ববানিয়া খামার এলাকার বাসিন্দা রাশেদ আলী বলেন, বিভিন্ন স্থানে দিনে ও রাতের বেলায় পটকা ও আতশবাজি ফাটিয়ে ভীতিসঞ্চার ও আতঙ্কের সৃষ্টি করা হয়। পটকার অস্বাভাবিক শব্দে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। কেএমপির এমন সময় উপযোগী সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন।
কেএমপির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি নিজেই আতশবাজি ও পটকার বিরুদ্ধে প্রচারণায় নেমেছি। সবকটি ক্লাব ও কমিনিউটি সেন্টারকে যে কোন অনুষ্ঠানে আতশবাজি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছি। এরপরও যদি কোথাও পটকা বা আতশবাজির সাথে কেউ জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।