কৃষ্ণচূড়ার সাজে গাছে যেন আগুন জ্বলে

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: ‘কৃষ্ণচূড়া লাল হয়েছে ফুলে ফুলে, তুমি আসবে বলে’ এখন সময় কৃষ্ণচূড়ার বাহারি রঙয়ে মাতোয়ারা হবার। এই গ্রীষ্মের কড়া রোদে কৃষ্ণচূড়ার আবীর নিয়ে প্রকৃতি সেজে উঠেছে বর্ণিল রূপে। দেখলেই মনে হয় প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়ার রঙয়ে আগুন জ্বলছে। যে দিখে চোখ যায় যেন সবুজের মাঝে লালের মূর্ছনা, প্রকৃতির এই অপরূপ সাজ দেখে দু’চোখ জুড়িয়ে যায়।
এমনটিই নাটোরের লালপুর উপজেলার প্রতিটি রাস্তা ঘাট ও গ্রামের আনাচে কানাচে লাল হলুদ রঙয়ের কৃষ্ণচূড়া ফুলে ছেয়ে গেছে। বৈশাখ এলেই যেনো প্রকৃতির ভালোবাসার কথা জানান দিতে লাল লাল হয়ে হেঁসে উঠে কৃষ্ণচূড়া ফুল। চোখ ধাঁধানো কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য যেন হার মানায় ঋতুরাজকেও। ঋতুচক্রের আবর্তনে কৃষ্ণচূড়া তার মোহনীয় সৌন্দর্য নিয়ে আবারো হাজির হয়েছে প্রকৃতির মাঝে। কৃষ্ণচূড়ার লাল আবীর গ্রীষ্মকে দিয়েছে এক অন্য মাত্রা।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার লালপুর-বনপাড়া সড়কে গিয়ে দেখা যায়, বৈশাখে কৃষ্ণচূড়া তার লাল আবীর নিয়ে পাকা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছে ঋতুরাজ বসন্তের ভালোবাসা নিয়ে কৃষ্ণচূড়া তার সমস্ত রঙ প্রকৃতির মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে। এই কৃষ্ণচূড়া গাছটির দিকে তাকালেই তার মুগ্ধতায় যে কারোরেই দৃষ্টি কেড়ে নেয়।
স্থানীয়রা জানান, এই কৃষ্ণচূড়া ফুল লাল ও হলুদ রঙয়ের হয়ে থাকে। আমরা না জেনে একে কৃষ্ণচূড়া বলে থাকি। লাল রঙয়ের ফুলকে কৃষ্ণচূড়া ও হলুদ রঙয়ের ফুলকে রাধাচূড়া বলা হয়। তবে হলুদ রঙে রাধাচূড়া এখন তেমন দেখা যায় না বলেই চলে। আমাদের দেশে এপ্রিল মে মাসে এই ফুল ফোটে। বছরের অনান্য সময় এই ফুল বা গাছ সচারাচর চোখে না পড়লেও এপ্রিল মে মাসে যখনি গাছে নতুন পাতা বা ফুল ফোটা শুরু করে তখনি যেন পথচারির নজর কাড়ে মনমুগ্ধকর এই কৃষ্ণচূড়া।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার প্রতিটা গ্রামে এখন কৃষ্ণচূড়ার শাখায় শাখায় লাল হলুদ ফুলের সমারহ। কৃষ্ণচূড়া গাছ খুব একটা বড় হয় না। তবে এর ডাল পালা পাইকোর গাছের মতো অনেক জায়গা পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। কৃষ্ণচূড়া গাছ বর্তমানে উপজেলার রাস্তার দুই ধারে এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা পরিষদের আঙ্গিনায় শোভা পাচ্ছে। কৃষ্ণচূড়া ফুলের পাপড়ি লাল-হলুদ রঙয়ের হয় এর ভেতরে অংশে হালকা হলুদ রঙ যুক্ত অনেক দূর থেকে দেখতে মনে হয় গাছে গাছে যেন লাল আগুন জ্বলছে।

Related posts