কৃষিখাতের জন্য টাকার কোন সমস্যা নেই : কৃষিমন্ত্রী

এসবিনিউজ ডেস্ক: আলু উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করে কিভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করা যায় সে জন্য আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্রের সহযোগীতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, কৃষিখাতের জন্য টাকার কোন সমস্যা নেই। আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই, কিভাবে আলুর উন্নয়ন করে এর প্রক্রিয়াজাত করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করা যায়।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কৃষিমন্ত্রীর সাথে সচিবালয় তার অফিসকক্ষে আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্রের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সমন্বয়কারি ও কান্ট্রি ম্যানেজার ড. ইউ এস সিং সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এই সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় কৃষি সচিব মো: নাসিরুজ্জাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনইস্টটিউটের (বারি) সাবেক পরিচালক এম এ বারি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. লুৎফুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষি উৎপাদনের দিক থেকে ধান,গম ও ভুট্টার পরেই চতুর্থ স্থানে আছে আলু। অনুকূল আবহাওয়া ও মটির কারণে দেশের কিছু জেলায় ৩০টি জাতের আলু ব্যাপকভাবে চাষ হয়ে থাকে। বিগত বছরে আলুর উৎপাদন আমাদের চাহিদার চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিকটন বেশি হয়েছে। কিন্তু লেইট ব্লাইট রোগের নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে আমরা প্রবেশ করতে পারছিনা। যদিও বাংলাদেশ থেকে অনেক কৃষিজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
সিঅইপি প্রতিনিধি বলেন, মিষ্টি আলু বেশ সুস্বসাধু এবং এর উৎপাদনও ভালো। বাংলাদেশকে আলুর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে হলে তাদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন জাত উদ্বাভন করতে হবে। এদেশে আলুর উৎপাদন ভালো তবে প্রক্রিয়াজাতের জন্য তেমন উপযোগি নয়। এর জন্য চিপস ও ফ্রাঞ্চ ফ্রাইসহ অন্যান্য খাদ্য তৈরির জাত উদ্ভাবন করতে হবে। ভারতে স্বল্প সময়ে আহরণ উপযোগী আলুর জাত রয়েছে। এ সময় তারা আলুর টিস্যূ কালচার ও স্ট্যাম্প কাটিং এর কিছু নমুনা তুলে ধরেন।
বৈঠককালে প্রতিনিধিদলের নের্তৃবৃন্দ এখাতে বাংলাদেশকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। বাংলাদেশ ও সিআইপি সমন্বয় করে যৌথভাবে সমস্যার সমাধান করে এখাতের আরও উন্নয়ণ করতে চায়।

Related posts