বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ ❙ ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

কুয়েটের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী লাঞ্চনার ঘটনায় মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অভ্যন্তরে বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী লাঞ্চনার ঘটনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্বর্য ‘দুর্বার বাংলা’ চত্বরে আয়োজিত কর্মসূচীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। কুয়েট অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ আনিছুর রহমান ভূঞা’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে একাত্ততা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. মোঃ জুলফিকার হোসেন, খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী (তড়িৎ) হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ, সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোঃ মাহমুদুল হাসান, সহকারী পরিচালক (স্টোর) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, ৩য় শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোঃ মামুনুর রশীদ জুয়েল, ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান আলী রনি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ৩৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী খলিফা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ গোলাম রসুল, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ খানজাহান আলী থানা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ মিজানুর রহমান রুপম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ খানজাহান আলী থানা শাখার সাবেক সভাপতি মোঃ সেলিম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু হেনা বাবলু প্রমুখ। এসময় বক্তারা উল্লেখিত ঘটনার বিচার এবং পরবর্তীতে যাতে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি দাবি জানান।
মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন এর নিকট ঘটনার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ভাইস-চ্যান্সেলর স্মারকলিপি গ্রহণ করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়া ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর আজ কর্মবিরতি পালন করছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কুয়েটে কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসলাম পারভেজকে গত ৬ ডিসেম্বর রোববার সকাল ১০ টায় ক্যাম্পাসস্থ স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে যোগীপোল ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আরিফ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি পুকুরে মাছ ধরতে না দেওয়া, কুয়েটের পকেট গেটস্থ সরকারি জায়গায় দোকান বসাতে না দেওয়া এবং তার কথামত প্রকৌশল শাখার সরকারি যাবতীয় কাজ বন্টন না করার বিষয়ে কৈফিয়ত চান। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসলাম পারভেজ কৈফিয়ত প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করলে ইউপি সদস্য মোঃ আরিফ হোসেন সেখানে উপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রদের সামনে তাকে লাঞ্চিত করেন এবং তার হাত-পা কেটে ফেলাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। এছাড়া ইউপি সদস্য ইতিপূর্বে কারণে অকারণে কুয়েটে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রদের লাঞ্চিত করেছেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য,এসব বিষয়সমূহ উল্লেখ করে রোববার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা খানজাহান আলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

Related posts