
এসবিনিউজ ডেস্ক: অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে দেশের মানুষের কাছে সুস্থভাবে আবার ফিরে আসায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার বিকাল পাঁচটা ৫৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি অবতরণ করেন।
এরপর বিমান বন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই কৃতজ্ঞতার কথা জানান ওবায়দুল কাদের। এর মধ্য দিয়ে প্রায় আড়াই মাস পর সাংবাদিকদের মুখোমুখী হলেন এই রাজনৈতিক নেতা।
তিনি বলেন, আমি আমার প্রাণপ্রিয় দেশবাসীর সামনে আবার আসতে পারব; যা ছিল অকল্পনীয়, অবিশ্বাস্য। কিন্তু আমি আপনাদের কাছে ফিরে এসেছি। আর এজন্য মহান শ্রষ্টা ও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নিরাময়দাতার প্রতি জানাচ্ছি অসীম কৃতজ্ঞতা।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে নতুন উদ্যমে আওয়ামী লীগের পাশে থেকে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন তিনি।
একজন রাজনীতিবিদের সবচেয়ে বড় অর্জন জনগণের ভালবাসা পাওয়া, যা তিনি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী।
৬৯ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডিতে ভুগছিলেন। গত ৩ মার্চ ভোরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকার বিএসএমএমইউতে ভর্তি হলে এনজিওগ্রামে ওবায়দুল কাদেরের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।
অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে ভারতের স্বনামধন্য হৃদরোগ সার্জন দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। ভর্তি করা হয় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে।
সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি হলে গত ২০ মার্চ ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়। ছয় দিন পর তাকে আইসিইউ থেকে স্থানান্তর করা হয় কেবিনে। এক মাস পর হাসপাতাল ছাড়লেও চিকিৎসকরা ‘চেক-আপের জন্য’ আরো কিছু দিন তাকে সিঙ্গাপুরে থাকার পরামর্শ দেন। এরপর একটি বাসা ভাড়া করে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেন ওবায়দুল কাদের। তার সঙ্গে স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদেরও রয়েছেন।